ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা পদত্যাগ করলে ক্ষমা : উপদেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১১-১২-২০২৪ ০৫:১১:০৬ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১১-১২-২০২৪ ০৭:০৭:০৮ অপরাহ্ন
ফাইল ফটো
মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও সুবিধা নেয়া জাতির সাথে প্রতারণা উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, এরই মধ্যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্ত করার কার্যক্রম চলছে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ যদি স্বেচ্ছায় নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে তবে সরকার ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবে। আর যদি মন্ত্রণালয় তাদের খুঁজে বের করে তবে প্রতারণার দায়ে কঠোর শাস্তির হুশিয়ারি দেন তিনি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ভুয়া সনদ নিয়ে চাকরি নেয়াদের প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, যাচাই-বাছাইয়ের পর যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যারা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তারা তালিকায় তালিকাভুক্ত হয়েছেন, যদি স্বেচ্ছায় নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন তবে শাস্তি পাবেন না।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স মন্ত্রণালয় থেকে ১২ বছর ৬ মাস নির্ধারণ করা আছে। এর চেয়ে কম বয়সী আছেন ২ হাজার ১১১ জন। তারা তালিকা থেকে বাদ যাবেন।
মন্ত্রণালয় থেকে ভাতাপ্রাপ্ত মোট বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৫৪ জন বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে বীরাঙ্গনা ৪৬৪ জন। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ৫ হাজার ৮৯৫ জন, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ৫ হাজার ৩৩৩ জন এবং খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৩৬৮ জন। সব মিলিয়ে মোট ভাতাপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫০ জন।
এক প্রশ্নের জবাবে ফারুক ই আজম বলেন, রাজাকারের তালিকার কোনো ফাইল পাওয়া যায়নি। মন্ত্রণালয়েও এ নথি নাই।
বাংলা স্কুপ/ প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স